শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা
লালমনিরহাটে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে

লালমনিরহাটে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার তৃণমূলের অধিকার বঞ্চিত নাগরিকদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ১৯৭৬ সালে গঠন করা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রাম আদলত কার্যত বন্ধ থাকায় এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্ব স্ব ইউনিয়নের নাগরিকরা।

 

জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের স্থাপিত গ্রাম আদালতে আইনের মধ্যে থেকে ছোট-খাট বিরোধ সমস্যা কম সময়ে এবং বিনা খরচে মিমাংসা করা হয়। যা তৃণমূল নাগরিকদের মামলার হয়রানি ও অর্থ খরচ কমে আসে। কিন্তু বর্তমানে এজলাসের অবকাঠামোগত সমস্যা, চেয়ারম্যানদের গা ছাড়া ভাব, পরিষদে নিয়মিত উপস্থিতি না থাকা, নানা কাজে ব্যস্ততা, লোকবল সংকট ও নানা কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার মোট ৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত।

 

কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম যেভাবে চলার কথা ঠিক সেভাবে চলছে না এমনটি জানিয়েছেন ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যেমন- স্থানীয় নাগরিকদের ধারণা গ্রাম আদালতের ক্ষমতা খুবই সীমিত। তাছাড়া এ ধরনের আইনি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি তারা জানেনা। এমনকি এ বিষয়ে প্রচারণাে অভাবও রয়েছে।

 

আরও জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত অনদিক মাত্র ২৫হাজার টাকার বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে পারত। এখন সেখানে ৭৫হাজার টাকা করা হয়েছে। বিচারক যারা (চেয়ারম্যান) তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি গ্রাম আদালতে সাজা দেয়ার ক্ষমতা থাকত তাহলে হয়তো গ্রাম আদালতের বিচারগুলো আরো একটু গুরুত্ব পেত। এছাড়া গ্রাম আদালত চালু থাকার ফলে বিজ্ঞ জজ কোর্ট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলার চাপ কমে গিয়ে বিচার প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পাবে। গ্রাম আদালতগুলোতে ছোট, ছোট ঘটনা দেওয়ানী এবং ফৌজদারী দু’ধারারই দন্ডবিধিতে এখানে বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। জেলার বেশি ভাগ ইউনিয়নের গ্রাম আদালতগুলো মূলত: সপ্তাহে একদিন বসার কথা থাকলেও অনেক সময় মাসেও বসে না এমন অভিযোগ অনেকেরই। ফলে সংকট ও বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতগুলো। যাতে করে গ্রাম আদালতে সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ নাগরিকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone